আজ রাজুর মন ভাল নেই
আজ রাজুর মন ভাল নেই
কয়েকদিন যাবত রাজুর মনটা খুব খারাপ। বউয়ের সাথে অনেকদিন পর পর যেকোন ইস্যু নিয়ে লেগে যায়। দোষটা অপুরও আর ওর বউ উভয়েরই। বউটাও আছে সময় স্থান কাল এবং স্বামীর মন মানসিকতা কিছুই বোঝে না। বোকা মানুষ হলে যায় হয় আরকি।
স্বামী রাগ করলে কিভাবে তার রাগটা ভাঙ্গাবে তাও বোঝে না। আর এজন্যই অপুর রাগ আস্তে আস্তে দু-তিন গুন বেড়ে যায়। দিন যত যায় রাগের পরিমান ততো বাড়তে থাকে। আর রাগের সময় অন্যের দোষ ত্রুটিগুলো মনে মনে বেশি ভাসতে থাকে।
তখন ইচ্ছে করে ২/৪ দিনের জন্য কোথাও যেতে পারত, কোথাও গিয়ে যদি মনটা ফ্রেশ করা যেত। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠে না চাকুরির জন্য, খরচের জন্য। এমনিতেই যে দিনকাল পড়েছে তাতে কোথাও যাওয়া, কিছু বাড়তি খরচ করা খুবই কঠিন কাজ।
মাঝে মাঝে দু-এক বন্ধুর কাছে গেলেও তাদের সাথে সব কথা শেয়ার করা যায় না। কারন সবাই যার যার ব্যস্ততা নিয়ে ব্যস্ত। আর বলতে পারলেও কেউ কারও সমস্যা বুঝতে চায় না। যে যার মত করে সমাধান দেয়। আসলে নিজের সমস্যা নিজেকেেই বের করে দিতে হয়। নিজের ভুলের ত্রুটির কারনে নিজেকেই কষ্ট পেতে হয়।
মন বেশী খারাপের যের অনেক পুরনো। বিয়ের পর পরই যখন রাজু দেখত তার বউ তার প্রতি আগ্রহ কম দেখাচ্ছে বা তার কাছে তার বাড়িতে গেলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে তখন রাজুর সন্দেহ বাড়তে থাকে যে তার বউর অন্য কোন রিলেশন আছে কি না। আর এই সন্দেহ থেকেই সে শ্বশুর বাড়ি বেশী যেতে থাকে আর বউর আচরনও আরো খারাপ হতে থাকে। সব থেকে বেশী সমস্যা হত রাতের বেলায়। তখন রাজুর সাথে ওর বউয়ের হাতা হাতি পর্যন্ত হত।
সারা রাত রাজু ঘুমাতে পারত না। সারারাত রুমের ভেতর হাটা হাটি করত। আর মনে মনে আফসোস করত ভেবে যে তার জীবনটা বরবাদ হয়ে গেল ভেবে। এসব লজ্জার কথা কারও সাথে শেয়ারও করতে পারত না। শুধু ওর নানু শ্বাশুড়ীর সাথে শেয়ার করত। নানু শ্বাশুড়ী পরে নাতনীকে বকাবকী করত আর রাজুকে বোঝাত, ধৈর্য ধারন করতে বলত।
এখন যখনিই রাজুর মন খারাপ হয় তখনই ঐ পুরানো কথাগুলো বার বার মনে হয়।
Comments
Post a Comment